কোবিড-(১৯) করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বেকার মানুষের দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। তাই করোনার ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করছে সরকার, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এসব কথা বলেন।
এরইমধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ‘করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে যুবকদের জন্য গ্রামে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র হ্রাসকরণ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ গ্রামে ফিরে গেছেন,তাদের অনেকেই হয়তো আর আগের কর্ম ফিরে পাবেন না।এ পরিস্থিতিতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দ্রুত উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে ঋণ দেয়ার মাধ্যমে স্বদ্দ্যোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, করোনার প্রভাবে যারা গ্রামে ফিরে গেছেন তাদের হয়তো অনেকেই কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বেন। তাদের জন্য করোনা পরবর্তীতে দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে এমন বিষয়ে প্রকল্প নেয়ার জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয় ।
এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতি করোনার ধকল কাটিয়ে দ্রুতই দেশের অর্থনীতিকে সাবলীল ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবির সভায় প্রকল্পটি তুলে ধরেন। এতে বলা হয়- যুবদের শহরমুখী প্রবণতা রোধ করে গ্রামেই আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কর্মপ্রত্যাশী যুবদের আয় বাড়ানোর কাজে নিয়োজিত করার মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্যোৎপাদন বৃদ্ধি করা, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মাধ্যম পারিবারিক কৃষি ও জীবন দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ (মৎস্য, পোল্ট্রি, লাইভ স্টক, কৃষি) ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যা ট্রেড ভেদে প্রশিক্ষণের মেয়াদ হবে ১০-২৮ কর্মদিবস।
এসময় যুব ও ক্রীড়া সচিব মো.আকতার হোসেনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন ।এছাড়া যুব সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীণ দারিদ্র্ হ্রাসে নিয়োজিত করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।